স্বাধীনতা কী বা কাকে বলে? স্বাধীনতার সংজ্ঞা? স্বাধীনতা কত প্রকার ও কী কী?
স্বাধীনতা কত প্রকার ও কী কী?
স্বাধীনতা
স্বাধীনতা কাকে বলে?
স্বাধীনতা কাকে বলে তা নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। সকল মতামতের মধ্যে নির্ভরযোগ্য সংজ্ঞা তুলে ধরা হল।
সাধারণ অর্থে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কোন কাজ করাকে স্বাধীনতা বলে। তবে, প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা বলতে কোন অবাধ স্বাধীনতাকে বোঝায় না।
কারণ, সীমাহীন স্বাধীনতা সমাজে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটায়। যেমন, কাউকে ইচ্ছামত সবকিছু করার স্বাধীনতা দিলে স‘মাজের অন্য জ‘নের ক্ষতি হতে পারে, যা এক অ‘শান্তিপূর্ণ ও বি‘শৃঙ্খলা পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
তাই, স্বাধীনতার সংজ্ঞায় বলা যায়, অন্যের কোন কাজে হ‘স্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করে নিজের ই‘চ্ছানুযায়ী নি‘র্দিষ্ট সী‘মার মধ্যে কাজ করাকে স্বাধীনতা বলে। অর্থাৎ স্বাধীনতা হলো এমন সুযোগ-সুবিধা যেখানে কেউ কারো কোন ক্ষতি না করে সকলেই নিজের অধিকার ভোগ করবে এবং স্বাধী‘নতা ব্য‘ক্তির ব্যক্তিত্ব বিকা‘শে সহায়তা করবে এবং অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে বাধা অপসারণ করবে। এ পর্যায়ে বলা যায় স্বাধীনতা কাকে বলে তা যথেষ্ট পরিষ্কার।
আরও পড়ুন:
আইন কাকে বলে? আইনের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য ও উৎস কী?
স্বাধীনতা কত প্রকার ও কী কী?
স্বাধীনতা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যথা-
- ব্যক্তি স্বাধীনতা।
- সামাজিক স্বাধীনতা।
- রাজনৈতিক স্বাধীনতা।
- অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ।
- জাতীয় স্বাধীনতা।
ব্যাক্তি স্বাধীনতা কাকে বলে?
ব্যক্তিস্বাধীনতা : যে স্বাধীনতা ভোগ করলে অন্যের কোনো ক্ষতি হয়না এমন স্বাধীনতাকে ব্যক্তিস্বাধীনতা বলে। যেমন- ধর্মচর্চা করা, পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষা করা ইত্যাদি।
সামাজিক স্বাধীনতা কাকে বলে?
সামাজিক স্বাধীনতা : জীবন রক্ষা, সম্পত্তি ভোগ করা এবং বৈধ পেশা গ্রহণ করা সামাজিক স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত । সামাজিক স্বাধীনতা ভোগের মাধ্যমে নাগরিক জীবন বিকশিত হয়। সমাজে বসবাসকারী মানুষের অধিকার রক্ষার জন্যই এ স্বাধীনতার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
পরিবার কাকে বলে? পরিবারের শ্রেণিবিভাগ
রাজনৈতিক স্বাধীনতা কাকে বলে?
রাজনৈতিক স্বাধীনতা : রাজনৈতিক স্বাধীনতা বলতে নির্বাচনে ভোটদান, নির্বাচিত হওয়া, বিদেশে অবস্থানকালীন নিরাপত্তা লাভ ইত্যাদিকে বুঝায়। রাজনৈতিক স্বাধীনতার মাধ্যমে ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় শাসনকাজে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা : যোগ্যতা অ‘নুযায়ী পেশা গ্রহণ ও উ‘পযুক্ত পারি‘শ্রমিক লাভ ক‘রাকে অর্থনৈতি স্বাধীনতা বলে। মূলত আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য নাগরিকরা এ স্বাধীনতা ভোগ করে। অর্থনৈতিক স্বাধী‘নতা না থাকলে অন্যান্য স্বা‘ধীনতা ভোগ করা যায় না।
জাতীয় স্বাধীনতা: বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রা‘ষ্ট্র ও অন্য রাষ্ট্রের হস্ত‘ক্ষেপ থেকে মুক্ত। বাংলাদেশের অ‘বস্থা‘নকে জাতীয় স্বাধী‘নতা বা রাষ্ট্রীয় স্বাধী‘নতা বলে। এই স্বাধীন‘তার ফলে এ‘কটি রাষ্ট্র অ‘ন্য রাষ্ট্রের কর্তৃক থাকে । প্রত্যেক স্বাধী‘ন রাষ্ট্র জা‘তীয় স্বা‘ধীনতা ভোগ করে।
####
এই পোস্ট থেকে আমরা স্বাধীনতা কী বা কাকে, স্বাধীনতার সংজ্ঞা, স্বাধীনতা কত প্রকার ও কী কী? সম্পর্কে জানতে পারলাম। পোস্টটি কেমন লাগলো আমাদের কমেন্ট করে জানান। ধন্যবাদ।
পড়াশোনা কৱাটা কি খুব জৱুৱি!
নাহ, ইচ্ছে না হলে করবেন না